দলের সাংগঠনিক কাজ নিয়ে বেসুরো তৃণমূল বিধায়ক

16th January 2021 9:01 am হুগলী
দলের সাংগঠনিক কাজ নিয়ে বেসুরো তৃণমূল বিধায়ক


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :   আবার বেসুরো উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।এর আগেও বিধায়কের গলায় সোনা গেয়ে ছিলো দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষোভের কথা।  আবার বেসুরো বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন গত লোকসভা ভোটে হুগলির ফলাফল তৃণমূলের পক্ষে খারাপ হয়েছিল। বিভিন্ন বিধানসভার শহরাঞ্চল ও গ্রামঅঞ্চলে তৃণমূলের ভোট কমেছে অনেকটা। নতুন সংগঠন গঠন নিয়ে বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন নতুন কমিটি গঠন হয়েছে ঠিকই কিন্তু তা কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে আগামী বিধানসভা ভোটে বোঝা যাবে। দলের আর সরকারের এখনো যে বেশকিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়ে গেছে তা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন রাজ্যসরকার অনেক উন্নয়ন করেছে,কিন্তু আমার উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের দুটি পঞ্চায়েতের উপর দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। রাস্তা নিয়ে মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে জানিয়েছে কিন্তু একেকটা দপ্তর এক এক রকম কথা বলছে। উন্নয়নের বেশকিছু জায়গায় যে ঘাটতি রয়েছে।  বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল আরো একটি বিষয় স্বীকার করে নেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে খুব কঠিন লড়াই হতে চলেছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।